নিউট্রিশন এর পাওয়ার হাউজ সজনে পাতা, বয়সের ছাপ দূর করে।
সজনে পাতার পুষ্টি গুণ ও ব্যবহার – পৃথিবীর অন্যতম পুষ্টিকর একটি উদ্ভিত সজনে গাছ বা মিরাকেল ট্রি যা মরিঙ্গা নামেও পরিচিত, এটিকে সুপার ফুড বা নিউট্রিশন এর পাওয়ার হাউজ বলা যায়। যাতে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ১২০ টির ও বেশি পুষ্টিকর উপাদান। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অ্যামিনো এসিড,জিংক,ভিটামিন,মিনারেলস,এন্টিঅক্সিডেন্ট,ক্যালসিয়াম,ম্যাগ্নেসিয়াম,ফসফরাস,পটাশিয়াম, আইরন ইত্যাদি সহ আরও নানা রকমের পুষ্টিকর উপাদান। সামগ্রিক ভাবে সজনে পাতা বায়োএ্কটিভ, ম্যাক্রো এবং ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট দ্বারা সমৃদ্ধ। যা একটি সুস্থ স্বাভাবিক দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
সজনে পাতায় রয়েছে ভিটামিন-সি ও এন্টি-অক্সিডেন্ট যা আমাদের বার্ধক্যজনিত সমস্যার সমাধান করে এবং ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে। এটির অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য ত্বকের কাটা, ক্ষত, ঘর্ষণ, পোড়া চিহ্ন, ত্বকের সংক্রমণ, ফুসকুড়ি, রোদে পোড়া দাগর ক্ষেত্রে ব্যবহারে কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায়।
উপকারিতা:
১। বয়সের ছাপ দূর করে,
২। ব্রণ দূর করে,
৩। ব্রণের দাগ দূর করে,
৪। পোরস পরিষ্কার রাখে,
৫। ত্বক টানটান রাখে,
৬। রোদে পোড়া দাগ দূর করে,
৭। ত্বকের ময়লা দূর করে।
ত্বক এবং চুলের যত্নে সজনে পাতার উপকারিতা:
১। সজনে পাতাকে প্রাকৃতিক পরিশুদ্ধিকরণ ও বলা হয়,যা দেহের তন্ত্র প্রণালী এবং দূষিত রক্তকে বিশুদ্ধ্ব করে, ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার, স্বচ্ছ ও উজ্জল করে তোলে।
২। সজনে পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বককে দূষিত বায়ু ও সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করে। এবং ত্বকের বলিরেখা, সুক্ষ্ম রেখা, বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
৩। এছাড়াও সজনে পাতার রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য যা ব্রণ কমাতে, ব্রণের দাগ, ওপেন পোরস, ব্রণ থেকে হওয়া ক্ষত নিরাময় করতে, অ্যাকনে ব্রেকআউট প্রতিরোধ করতে এবং অতিরিক্ত সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রন করতে সহায়তা করে।
৪। সজনে পাতায় থাকা ভিটামিন ‘এ’ কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে। যা ত্বককে দূষণকারী টক্সিন থেকে রক্ষা করে ত্বকের দৃঢ়তা বাড়িয়ে স্কিন ব্যারিয়ার কে মজবুত করতে বেশ সহযোগিতা করে।
৫। সজনে পাতার গুড়ো ত্বককে মৃদু ভাবে এক্সফলিয়েট করে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সহায়তা করে এবং এর পাশাপাশি এতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ ত্বককে করে তোলে মসৃণ, দাগহীন ও প্রাণবন্ত।
৬। কারো শরীরে যদি ব্রণের সমস্যা থাকে, যেমন: বুকে অথবা পিঠে সে ক্ষেত্রে এর অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য শরীরে উৎপত্তি হওয়া ব্যাক্টেরিয়া গুলো ধ্বংস করে, ব্রণ ও ব্রণের দাগ নিরাময় করে।
৭। সজনে পাতা মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে চুল পড়া রোধ করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
৮। এতে থাকা পুষ্টিকর উপাদান গুলো যেমন ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে করে ঘন, লম্বা, মজবুত এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল।
৯। এছাড়াও মাথার স্ক্যাল্পের ইনফ্ল্যামেশন এবং অতিরিক্ত শুষ্কতা কমিয়ে এটি খুশকি দূর করতেও সহায়তা করে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: বেশি পরিমাণে সজনে পাতা সেবন করলে মাঝে মধ্যে বমি বমি ভাব হওয়া,ডাইরিয়া,গ্যাস ইত্যাদি রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এছাড়া যাদের ত্বক অনেক সেন্সিটিভ তারা যদি কোন প্রকার সাবধানতা অবলম্বন ছাড়াই ব্যবহার করে তাদের ক্ষেত্রে স্কিনে র্যাশ, জালাপোড়া অথবা ব্লিস্টারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উপরিউক্ত পার্শ্বপ্রিতিক্রিয়া গুলো খুবই বিরল, এগুলো শুধু মাত্র ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে ঘটে। সঠিক পরিমাণ এবং সঠিক নিয়মে সেবন অথবা ত্বকে ব্যবহার করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সেবন প্রক্রিয়া: সেবন প্রক্রিয়া-সকালে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে ২-৩ চামচ সজনে পাতার গুড়ো মিক্স করে ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও টক দই, গরুর দুধ, বাদামের দুধ ইত্যাদি দিয়ে স্মুদি বানিয়ে সকালের নাস্তার সাথেও নেওয়া যেতে পারে। চাইলে ডাবের পানি বা যেকোনো ফল যেমন আপেল, কলা, পেয়ারা, ডালিম, কমলা ইত্যাদির সাথে জুস বানিয়ে, অথবা বিটরুট, গাজর, শসা ইত্যাদি সবজির সাথেও জুস বানিয়ে সেবন করা যেতে পারে।
ত্বকে প্যাক হিসেবে ব্যবহার: একটি বাটিতে ১ চা চামচ পাউডার নিয়ে পরিমাণ মত পানি অথবা গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। পুরো মুখে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো করে ভিজিয়ে দিয়ে পেস্টটি পুরো মুখে ব্যবহার করুন। ১৫-২০ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতি সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করুন রাতে ঘুমানোর আগে।
চুলে হেয়ার প্যাক হিসেবে ব্যবহার: একটি বাটিতে ৫০ গ্রাম বা চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পরিমাণ মতো নিয়ে নিন এবং যেকোনো পুষ্টিকর তেল যেমন নারিকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল বা যেকোনো বাদামের তেল নিয়ে নিন, চাইলে এটাকে টক দই, ডিমের সাদা অংশ, কলা ইত্যাদি এর সাথে অথবা যেকোনো একটির সাথে মিশিয়ে নিন। ভালো ফলাফলের জন্য পরিষ্কার মাথায় ব্যবহার করতে হবে,এরপর মাথার স্ক্যাল্প থেকে চুলের আগা অব্দি মিশ্রণ টি লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিটের মতো রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তৎক্ষণাৎ শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকুন, একদিন পর করলে বেশ ভালো হয়।
Moringa Powder একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান বিধায় কোনো ধরনের সাইড ইফেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং আমাদের সকল প্রোডাক্ট স্কিন কেয়ার স্পেশালিস্ট ডাক্তার দ্বারা স্বীকৃত ।
Reviews
There are no reviews yet.